হাত দেখতে হলে হাতের রঙ বিচারও একটি বিশেষ প্রয়োজনীয় বিষয়। হাত বা করতলের
রঙ দেখে জাতকের বিষয়ে অনেক কিছু বলা যায়। হাতের রঙ সাধারণতঃ কালো, গোলাপী, নীলাভ, লাল, ফ্যাকাশে বা সাদা এবং হলুদ। হয়ে থাকে এ বিষয়ে আলোচনা করা হচ্ছে।
কালো করতল
যে সব নারী বা পুরুষের করতলের রঙ কালো হয়, তারা খুব বেশি জেদী, শঠ, রাগী, প্যাঁচালো মনোভাবাপন্ন হয়ে থাকে। এরা হত্যা, খুন জখম ডাকাতি, ব্যভিচার প্রভৃতি নানা অন্যায় করে থাকে।
এদের পেটের রোগ, চর্মরোগ, চোখের রোগ, কোমরে বাত ও সাধারণ বাত প্রভৃতি হতে দেখা যায়। অনেক সময় এরা কোন বিবেচনা না করে হঠাৎ কাজকর্ম করে বসে যার ফলে সমাজের ক্ষতি হয়
গোলাপী করতল
যাদের হাতের রং গোলাপী ধরনের হয় তাদের মধ্যে ভাবপ্রবণতা, অভিমান প্রভৃতি বেশি থাকে। তাদের মধ্যে কাজ করার ও কাজের পথে উন্নতি করার অদম্য ইচ্ছা থাকে। এরা হয় যুক্তিবাদী, ন্যায়পরায়ণ, প্রেমিক। এদের কল্পনাশক্তি প্রবল। এরা গান-বাজনা, শিল্পসাহিত্য প্রভৃতি ভালবাসে। ভাগ্যও এদের ভাল হয়। এরা খুব শান্তিপ্রিয় হয়। ঝগড়া, ঝামেলা, গোলমাল এরা একটুও ভালবাসে না।
নীলাভ করতল
যাদের হাত নীলাভ, তাদের মধ্যে সব সময় স্নায়বিক ও রক্ত সংবহনের দুর্বলতা দেখা যায়। এরা সব কাজে নিরাশ ও বিমর্ষ হয়। কোন বড় কাজ করতে গেলে কাজ করতে করতে হঠাৎ এরা অবসন্ন হয়ে পড়ে। সব কাজের নৈরাশ্যের দিকটা এদের মনে আগে ভেসে ওঠে।
লালচে করতল
যাদের হাতের করতল লালচে তারা খুব ভোগবিলাসী হয়। এরা বীর যোদ্ধা বা বড় অফিসার হয়ে থাকে। এরা চিত্রশিল্পী, গায়ক শিল্পী প্রভৃতি হয় ও আনন্দ ভালবাসে। এরা খুব স্থির ও সদানন্দ হয়। এদের স্বভাব কোমল হয়।
সাদা ফ্যাকাশে করতল
যাদের হাতের করতল সাদা ফ্যাকাশে তারা একটু খিটখিটে হয় ও সব সময় বিনা কারণে একটা আলস্য এদের উপর প্রভাব বিস্তার করে। কাজের দিকে এগোতে চায় কিন্তু পারে না। শরীর দুর্বল হয়ে নানা রোগ ব্যধি দেখা যায়। জীবনে উন্নতির যোগ থাকলেও দৈহিক কারণে বাধা পায়।
হলুদ করতল
যাদের করতল হলুদ ধরনের, তারা সর্দি, কাশি, বুক ও অস্ত্রের রোগ, মাথা ধরা, পেটের নানা গোলমাল প্রভৃতিতে কষ্ট পায়। এরা হয় শান্ত, স্থির, চিন্তাশীল। মেয়েদের মত কোমল হয় এদের মন। নানা বিদ্যার প্রতি এদের আকর্ষণ বেশি হয়। এদের স্বভাব হয় চাপা। আধ্যাত্মিক পথে চর্চা করতে এরা ভালবাসে। তাতে এদের উন্নতি হয়। লিভার এদের প্রায়ই খারাপ হয়।