সকলেই সুখী হতে চান। কিন্তু হতে পারেন না। এর বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। অনেকে বলেন সব সুখ সবার জন্য নয়। কে কোন সুখ পাবেন আর কোন সুখ থেকে বঞ্চিত হবেন তা নির্ভর করে জন্মকুণ্ডলীতে গ্রহের অবস্থানের উপর। তবে কখনও কখনও জন্মকুণ্ডলীতে কোনও ঘটনার প্রতিশ্রুতি থাকলেও তা ঘটে না। তাঁর বিভিন্ন কারণের মধ্যে মাতৃদোষ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ।
মাতৃদোষ কী?
পূর্ব জন্মে মা বা মাতৃতুল্য কারও দ্বারা অভিশাপ হল মাতৃদোষ। মাতৃদোষ কেবলমাত্র পূর্বজন্মেরই হবে তা নয়, পূর্ববর্তী কয়েক জন্মের দোষও হতে পারে। মাতৃদোষ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অশুভ ফল দান করতে পারে। মাতৃদোষের কারণে ভাগ্যের সুফল, উচ্চশিক্ষা, গৃহসুখ, সন্তানসুখ সংক্রান্ত বিষয়ে অশুভ ফল প্রাপ্ত হতে পারে।
জন্মকুণ্ডলীতে মাতৃদোষ কখন নির্দেশিত হয়?
জন্মকুণ্ডলীর চতুর্থ স্থান এবং চন্দ্র মায়ের সঙ্গে সম্পর্কিত। জন্মকুণ্ডলীতে চতুর্থ স্থান, চতুর্থ স্থানের অধিপতি এবং চন্দ্র পাপগ্রহের (শনি, রাহু এবং কেতু) সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করলে জন্মকুণ্ডলীতে মাতৃদোষ নির্দেশ করে।
লগ্ন যদি দুর্বল হয় সে ক্ষেত্রে মাতৃদোষ বিশেষ অশুভ ফল দান করে।
জন্মকুণ্ডলী মাতৃদোষ নির্দেশ করলে যত শীঘ্র সম্ভব মাতৃদোষের প্রতিকার প্রয়োজন।
প্রতিকার –
- তীর্থস্থান (গয়া, ইলাহাবাদ, হরিদ্বার ইত্যাদি) বিশেষত যে সব জায়গায় শ্রাদ্ধকর্ম বিশেষ শুভ ফল দান করে ওই রকম জায়গায় পিতৃপুরুষ এবং মাতৃপুরুষের উদ্দেশে শ্রাদ্ধকর্ম করা।
- পূণ্য তিথিতে রামেশ্বরমের (দক্ষিণ ভারত) পূণ্যক্ষেত্রে স্নান।
- বাড়িতে মা এবং মাতৃস্থানীয়দের সেবা।
- বিষ্ণু মন্দির পরিক্রমা (ঘড়ির কাঁটার দিকে)।
- দান-সহ ব্রাহ্মণ ভোজন। এই কাজ বিশেষ শুভ অমাবস্যা তিথিতে।