(১) সচরাচর শিরোরেখার যে স্থান ভগ্ন থাকে বা ছেদ থাকে, সেই বয়সে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে শিক্ষায় বাধাবিঘ্ন বোঝায়। যাঁর হাতে ভগ্ন শিরোরেখা থাকে, তিনি মাঝপথে পড়াশোনা ছেড়ে দেন বা ছাড়তে বাধ্য হন। এক কথায় শিক্ষায় ছেদ বোঝায়।
(২) যাঁর শিরোরেখায় ছেদ থাকে, অনেক সময় যে বিষয়ে পড়াশোনাটা তিনি করছিলেন তাতে আগ্রহ হারিয়ে যাওয়া বোঝায়। ওই সময় পড়াশোনায় ভাল ফল হয় না।
(৩) যে বয়সে শিরোরেখায় ছেদ পড়ে, সেই সময়ে জাতক ভীষণ আবেগপ্রবণ হয়ে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেন। ফলে কেরিয়ারের ক্ষতি হতে দেখা যায়।
(৪) প্রাচীন সামুদ্রিক শাস্ত্রে শিরোরেখাকে পিতৃরেখা বা মাতৃরেখা বলা হয়েছে। তাই শিরোরেখায় ছেদ থাকলে ওই বয়সে পিতৃ বা মাতৃ বিয়োগ পর্যন্ত হতে পারে। এটা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তাঁদের করতলে দেখা যায়, যাঁদের শিশু বা কৈশোরে পিতৃ বা মাতৃ বিয়োগ হয়ে থাকে। অল্প বয়সে পিতৃ বা মাতৃ বিয়োগের চিহ্ন এই ছেদ। আবার খারাপ স্বাস্থ্যের কারণে পিতা বা মাতার মৃত্যু হলে এই ছেদ একটু বেশি বয়সের মানুষের করতলেও থাকতে পারে।
(৫) অল্প বয়সে মেয়েদের শিরোরেখায় এই ছেদ খুব স্পষ্ট ভাবে থাকলে, তাঁদের ক্ষেত্রে পিতার বিয়োগ বোঝায়। আর অল্প বয়সের ছেলেদের হাতে এই ছেদ থাকলে তাঁদের ক্ষেত্রে মায়েদের বিয়োগ বোঝায়।
(৬) অনেক ক্ষেত্রে এই ছেদ থেকে গাড়ি দুর্ঘটনা বোঝায়।
(৭) অনেক সময় মাথার কোনও রোগে ভোগার বিষয়ও নির্দেশ করে শিরোরেখায় এই ছেদ। যত দিন এই গ্যাপ থাকে, তত দিন এই জাতীয় মানসিক রোগে ভুগতে হয়। তারপর, পরবর্তী অংশে রেখা সবল থাকলে জাতক সুস্থ হয়ে ওঠেন।
(৮) হৃদয়রেখায় ফাঁক থাকলে যেমন চোখের রোগে কষ্ট পেতে হয়, তেমনই শিরোরেখায় ছেদ থাকলেও চোখের রোগে কষ্ট পেতে হয়।
(৯) কোনও কারণে বিশাল অঙ্কের টাকা ক্ষতি হলে তা যে কারণেই হোক না কেন, সেখানে শিরোরেখায় ছেদ থাকে।