বাস্তুশাস্ত্রের প্রতি মানুষের নির্ভরতা দিনের পর দিন বেড়ে চলেছে। কারণ, মানুষ ধীরে ধীরে বাস্তুশাস্ত্রের কার্যকারীতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা সম্পর্কে অবগত হচ্ছেন। আমাদের জীবন নানা সমস্যায় ভরা। যেমন, গ্রহ শুভ ও অশুভ প্রভাব বিস্তার করে, তেমনই অশুভ বাস্তুর প্রভাবেও জীবনে উন্নতি ও বাধার সৃষ্টি হয়।
অনেক সময় দেখা যায় গ্রহ দোষ না থাকলেও জীবনে বাধা বিপত্তি আসছে, তখন বুঝতে হবে বাস গৃহে বা কর্মক্ষেত্রে বাস্তু দোষ আছে। নিজের অজান্তেই আমরা বাস্তু দোষ কারণ তৈরি করে ফেলি। আসবাবপত্র, বিভিন্ন মুখোশ, ছবি, মূর্তি ইত্যাদি অনেক কিছুর দ্বারাই বাস্তু দোষ সৃষ্টি হতে পারে।
ঠিক তেমনই প্রচুর পরিশ্রম করেও অনেকেই ধন সম্পদ ধরে রাখতে পারেন না। এই প্রসঙ্গে বাস্তুশাস্ত্র মতে, ঘরে বেশ কিছু জিনিস রাখলে কোনদিনই ধন সম্পদ ধরে রাখা সম্ভব নয়। আসুন দেখে নেওয়া যাক, জ্যোতিষ শাস্ত্রে বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী কোন কোন জিনিসের কথা বলা হয়েছে।
ভালো আয় সত্ত্বেও অনেক সময় ধন সঞ্চয় সম্ভব হয় না। বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী এমন কিছু জিনিস আছে, যা নিজের কাছে রাখলে আর্থিক ক্ষতি হয়ে থাকে।
যেমন –
১. ছেঁড়া পার্স রাখাও অশুভ। ছেড়া পার্স রাখলে আর্থিক ক্ষতি হয়। এর ফলে নেগেটিভিটি বাড়ে। তাই তা শীঘ্র বদলে ফেলা উচিত।
২. অনেকেই যাত্রার পরও টিকিট জমিয়ে রাখেন। তবে বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী পুরনো টিকিট জমিয়ে রাখা শুভ নয়। পার্সে বা পকেটে পুরনো টিকিট রাখলে ব্যয় বৃদ্ধি হয়।
৩. আবার কোনও জামাকাপড়ের পকেট ছেঁড়া হলে, তা পরা অনুচিত। না-হলে অর্থের ক্ষতি হয়।
৪. বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী বন্ধ ঘড়ি কাছে রাখা অশুভ। বন্ধ ঘড়ি নেগেটিভিটি বাড়ায়। এমন ঘড়ি বাড়িতে রাখা বা পরার ফলে ক্ষতি হতে পারে।
৫. ছেড়া টাকাও আর্থিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই এই শাস্ত্রে বলা হয়েছে, কারও কাছে ছেড়া টাকা থাকলে তা পাল্টে ফেলা বা নিজের কাছে না-রাখা উচিত।
৬. আবার পার্স কখনও খালি রাখা উচিত নয়। এতে সামান্য হলেও, অবশ্যই টাকা রাখা উচিত। বাস্তুশাস্ত্রে বলা হয়েছে, খালি পার্স আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে।